শান্তিগঞ্জ-ডুংরিয়া সড়কজুড়ে গর্ত আর গর্ত
ধীরগতির সংস্কার কাজে জনভোগান্তি
- আপলোড সময় : ১৯-০৪-২০২৫ ০২:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৪-২০২৫ ০২:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন

হোসাইন আহমদ ::
সংস্কারের অভাবে শান্তিগঞ্জ-রজনীগঞ্জ সড়কের বেহালদশা। এর মধ্যে এই সড়কের শান্তিগঞ্জ-ডুংরিয়া অংশের অবস্থা খুবই নাজুক। এই সড়কজুড়ে গর্ত আর গর্ত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক বছর আগে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয়। তবে সংস্কার কাজ শুরু থেকে কচ্ছপ গতিতে চলছে। যার ফলে সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও কাদামাটিতে সড়কটি ভরপুর হওয়ায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, শান্তিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীন গত বছর শান্তিগঞ্জ-রজনীগঞ্জ সড়ক শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে ডুংরিয়া হাইস্কুল সংলগ্ন ব্রিজের পূর্ব পার্শ্ব পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১১ কোটি টাকা। কাজটি ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ এন্ড ব্রাদার্স বাস্তবায়ন করলেও সার্বক্ষণিক শান্তিগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি বিভাগ দেখভাল করে আসছে। গত বছর আরসিসি ঢালাই রাস্তাটি ২শ’ মিলি মিটার অর্থাৎ প্রায় ৮ ইঞ্চি পুরো এবং ৫.৫ মিলি মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কের কাজ শুরু হলেও সড়কের দুই পাশের গাছ কাটা নিয়ে জটিলতার কারণে নির্মাণকাজ বিঘœ হয়। তবে সড়কের দুই পাশের গাছ কাটার কোন সুরাহা না হওয়ায় চলতি বছরের শুরুর দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন পুরোদমে রাস্তাটি নির্মাণকাজ শুরু করে এবং উক্ত সড়কের একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ স¤পন্ন করে। কাজটি চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ শেষ হলেও প্রায় এক কিলোমিটারের অধিক রাস্তা নির্মাণ কাজ এখনো স¤পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখো গেছে, সড়কটির ডুংরিয়া হাইস্কুল সংলগ্ন ব্রিজ থেকে শিবপুর গ্রামের রায়হান আহমদের বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে এবং ব্রিজের পূর্ব পার্শ্ব থেকে শিবপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পশ্চিম পর্যন্ত সড়কটির ঢালাইয়ের কাজ স¤পন্ন হয়েছে। অপরদিকে শিবপুর ভাঙ্গাপুল (নতুন ব্রিজ) এর সামন থেকে শান্তিগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার এখনো ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও কাদামাটিতে ভরপুর হয়ে আছে। তবে শিবপুর গ্রামের ইসরাইল মিয়ার বাড়ির সামন থেকে জনৈক ইলিয়াছ মিয়ার বাড়ির সামন পর্যন্ত সড়কের এক পাশে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ স¤পন্ন হলেও অপর পাশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও কাদামাটিতে কর্দমাক্ত হয়ে যান চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। এতে সড়কটির একাধিক স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসীকে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোদে ধুলাবালি আর বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে পানি জমে থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া প্রায় সময়ই সড়কের গর্তে যানবাহন আটকে যায়। প্রসূতিসহ জরুরি রোগীদের ওই সড়ক দিয়ে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কষ্ট হয়। ওই সব গর্তে পানি জমে রয়েছে। আবার কোথাও কাদায় পরিপূর্ণ। গর্তে অটোরিকশা, পিকআপ আটকে যায়।
ডুংরিয়া গ্রামের সিএনজি চালক আবুল হাসনাত বলেন, এই সড়ক দিয়া যাত্রী নিয়ে সিএনজি গাড়ি চালানো আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বড় বড় গর্তে পানি জমে যায় এবং কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভবতী মহিলারা খুবই কষ্টের সম্মুখীন হন।
শান্তিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাবস্টেশন অফিসার শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, শান্তিগঞ্জ থেকে ডুংরিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার একপাশ একপাশ করে রাস্তায় আরসিসি ঢালাই কাজ চলমান রয়েছে। যার ফলে একপাশ দিয়া অধিক যান বাহন চলাচলের ফলে গর্ত ও কাদামাটির সৃষ্টি হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০/১২ দিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে গর্ত ভরাট, রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দিতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ